পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি এসএফআইয়ের (স্টুডেন্ট ফেডারেশন অব ইণ্ডিয়া) ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান রাজবাটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিকঅফিস চত্ত্বরে। এর ফলে বুধবার ও বৃহস্পতিবার জুড়ে ব্যাপক পুলিস ও অ্যাকশন ফোর্স নামানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত।
স্থানীয়দের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে বিক্ষোভ মিছিল করে বেশ কয়েক দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দিতে যায় এসএফআই। মূল গেট দিয়ে ঢোকার সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখনই শুরু হয়ে যায় উত্তেজনা। জোর করে তারা ঢুকতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা বাধা দেয়। এরপরই শুরু হয়ে যায় তাদের মধ্যে ঠেলাঠেলি এবং সেখান থেকেই হাতাহাতি।
অন্যদিকে পুলিশের সাথেও ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। তখনই এসএফআই কর্মী সমর্থকরা গেটের সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেয়। শ্লোগান দিতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর তাদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন প্রতিনিধি ভিসির কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় ।
এস এফ আইয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদের মারধর করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে নিরাপত্তা রক্ষীরা। তারা দাবি তুলেছে, ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের স্যারের গাড়ি আটকায় সেই গাড়ি ঢোকাতে গেলে তাদের ওপরই মারধর শুরু করে এস এফ আই, রাস্তায় ফেলে মারে বলে তারা দাবি করেছে। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যই তারা যতোটুকু সেলফ ডিফেন্স দরকার তাই করেছে বলে নিরাপত্তা রক্ষীরা জানিয়েছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ ব্যানার্জি জানিয়েছেন, কোন রকম আগাম নোটিশ ছাড়াই এস এফ আই ডেপুটেশন দিতে আসে। বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা রক্ষীদের তারা মারধর করে বলে তিনিও জানিয়েছেন।
তবে পুলিশের সামনে কিভাবে নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রদের উপর চড়া হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। যদিও ঘটনা কে কেন্দ্র করে পরবর্তী সময় আর নতুন করে উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় তার জন্য সেখানে পুলিশ মোতেন রাখা হয় ।
খুলনা গেজেট/এএজে